বাণিজ্য বিশ্ব

ট্যারিফ যুদ্ধের মহাযুদ্ধ: ট্রাম্পের সামনে নতজানু বিশ্ব, চীনই শেষ প্রতিপক্ষ?

US president Donald Trump

ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী ট্যারিফ যুদ্ধে জয়লাভ করেছেন । গতকালকে ইউরোপসহ গ্লোবাল স্টক মার্কেটের ১০ হাজার বিলিয়ন ডলার মূল্য পতনের পর ট্যারিফ যুদ্ধে ইউরোপ ট্রাম্পের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে । তাছাড়াও ইউরোপ বছরে আমেরিকায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানির বাজার হারানোর ঝুঁকি আছে । এদিকে ভারত কয়েক দিন আগেই সর্বপ্রথমে ট্যারিফ যুদ্ধে ট্রাম্পের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে কারন ভারত বছরে ২০০ বিলিয়ন ডলার আমেরিকায় পন্য রপ্তানি করে থাকে ।

শুধুমাত্র চীন একাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, কিন্ত চীন তার স্টক মার্কেটের অকল্পনীয় দর পতন ঘটেছে, আবার চীন বছরে আমেরিকায় ৫০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বাজার হারাবে, তাই খুব সম্ভবত চীনও আমেরিকার প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হবে কারন চীন একা কার সাথে বানিজ্য করবে । আর অন্যান্য দেশ যারা চীনের সাথে বানিজ্য করে ট্রাম্প তাদের উপর বানিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে । যদি চীন ট্রাম্পের প্রস্তাব না মানে, তবে প্রত্যক্ষ যুদ্ধ শুরু হবে, যখন ট্রাম্প চীনের জন্য বিভিন্ন বানিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন । ট্রাম্প চীনকে ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছে আমেরিকার পন্যের উপর থেকে চীনের ট্যারিফ প্রত্যাহারের জন্য।

মনে হচ্ছে এখন ট্রাম্পর হাতে বিশ্ব অর্থনীতি নির্ভর করছে এবং তিনি বিশ্বের সবকিছু নিজের মত করে চালাবেন । ফলে সামনে মুসলিমদের জন্য খুবই খারাপ সময় আসছে কারন ট্রাম্পের ইচ্ছা অনুযায়ী বিশ্বের সব দেশকে চলতে হবে এবং আর আমরা জানি ট্রাম্প ইসরাইলের ইচ্ছা পূরণ করবে । এদিকে ট্রাম্পের গোল্ডের ভিসা প্রজেক্টের মাধ্যমে বিশ্বের সব বিলিয়নাদের আমেরিকার নাগরিকত্ব দিয়ে ৫০ ট্রিলিয়ন ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে, কারন বিশ্বের মাত্র ৫% বিলিয়নার আমেরিকার নাগরিকত্বের আবেদন করেছে বাকীরা কোন সাড়া দেয়নি ।

কিন্ত ভাল দিক হল বিশ্বের সব দেশ এখন শূন্য ট্যারিফের ভিত্তিতে বানিজ্য চালাবে, জ্বালানি তেলের মূল্য কমবে, সুদের হার কমবে, মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং পন্যের মূল্য কমবে এবং ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে কারন সবাই ট্রাম্পের কথা মানার জন্য ট্যারিফ যুদ্ধের অবসান হতে যাচ্ছে এবং সবকিছু স্থিতিশীল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে । পরিশেষে দেখা যাক চীনের প্রতিক্রিয়া কি হয় । তাছাড়াও ইউরোপের সাথে ইউক্রেন এবং গ্রীনল্যান্ড নিয়েও বিভিন্ন সমস্যা আছে ।

ট্যারিফ যুদ্ধে প্রমাণ হয়েছে ট্রাম্প বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় কারন আমেরিকার স্টক মার্কেটের সর্বকালের সবচেয়ে বেশী মূল্য পতনের জন্য আমেরিকার জনগণ প্রতিবাদের জন্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে, কিন্ত ট্রাম্প তার ট্যারিফ যুদ্ধের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল এবং শেষ পর্যন্ত বিশ্বের ৮০% দেশ ট্রাম্পের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে । এখন ট্রাম্পের বিশ্বনীতি কি হয় সেটাই বিশ্বের মানুষ সর্তক দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করবে । এক কথায় বলা যায় ট্রাম্প আমেরিকার জনগণের কল্যাণের জন্য সবকিছু করবে, কোন দেশের কি ক্ষতি হল সেটা ট্রাম্পের বিবেচ্য বিষয় না ।