বর্তমানে (২০২৫ সালের বাস্তবতায়) ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সম্ভাবনা খুবই কম, যদিও সীমান্তে (বিশেষ করে কাশ্মীর অঞ্চলে) মাঝে মাঝে ছোটখাটো সংঘর্ষ বা উত্তেজনা তৈরি হয়। কয়েকটি মূল কারণ আছে কেন ভারত সাধারণত যুদ্ধ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে:
-
অর্থনৈতিক অগ্রগতি: ভারত এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি, তাই যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে চায়। যুদ্ধ হলে বিনিয়োগ, উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক—সব কিছুতেই বিরূপ প্রভাব পড়ে।
-
আন্তর্জাতিক চাপ: যুদ্ধ হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং জাতিসংঘ, ভারত-পাকিস্তান দুই দেশকেই শান্ত থাকার জন্য চাপ দেয়। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের যুদ্ধের ঝুঁকি পুরো বিশ্বকেই উদ্বিগ্ন করে।
-
সামরিক কৌশল: ভারত তার সামরিক সক্ষমতা অনেক বাড়িয়েছে, কিন্তু সরাসরি যুদ্ধের বদলে সার্জিকাল স্ট্রাইক বা কৌশলগত চাপের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখানোর নীতি নিয়েছে (যেমন ২০১৬ সালের সার্জিকাল স্ট্রাইক বা ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলা)।
-
জনগণের মনোভাব: ভারতের জনগণও এখন যুদ্ধ নয়, শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে। তবে কোনো বড় ধরনের উসকানি (যেমন বড়সড় সন্ত্রাসী হামলা) ঘটলে জনমত দ্রুত বদলেও যেতে পারে।
সংক্ষেপে:
ভারত যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করে, তবে যদি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের উসকানি বা হামলা হয়, তাহলে ভারত প্রতিশোধমূলক বা কৌশলগত সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। সরাসরি দীর্ঘমেয়াদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সম্ভাবনা আপাতত কম।