আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ |
আমাদের নানান কারণে মন খারাপ হয়। আবার কখনো কখনো কারণ ছাড়াই কেমন যেন বিষণ্ণ লাগে। এমন উদাসীন ও বিষণ্ণ লাগলে কিছু খাবার খেতে পারেন। গবেষণা বলছে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার মস্তিষ্কে সুখানুভূতি সৃষ্টি করে। কারণ খাবারগুলো ডোপামিন ও সেরেটোনিনের মতো ‘হ্যাপি হরমোন’ নিঃসরণে সহায়ক। এ খাবারগুলো খেলে মনের ওপর চাপ কমে এবং মন প্রফুল্ল থাকে।
দই
মন খারাপ লাগলে দই খেতে পারেন। প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ দই মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মনকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া দই খেলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে, মানসিক অবস্থাও ভালো থাকে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটও মন ভালো করতে ভূমিকা রাখে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ডোপামিন নিঃসরণ বাড়িয়ে সুখানুভূতি তৈরি করে। এছাড়া ডার্ক চকোলেট এন্ডরফিন নিঃসরণেও সাহায্য করে। এন্ডরফিন মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
ডিম
ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি ও ট্রিপটোফ্যান আছে। ট্রিপটোফ্যান থেকে শরীরে সেরেটোনিন তৈরি হয়, যা মেজাজ ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ডিম খেলে মানসিক স্থিরতা ও ভালো লাগা বাড়ে।
কলা
মন ভালো রাখতে কলাও খেতে পারেন। কলায় থাকা ভিটামিন বি৬ ও ট্রিপটোফ্যান মস্তিষ্কে সেরেটোনিন উৎপাদন বাড়ায়। সেরেটোনিন মনকে চাঙা রাখতে সহায়ক। দিনের শুরুতে কলা খেলে মানসিক ও শারীরিকভাবে উদ্দীপ্ত থাকবেন। বাড়বে কর্মস্পৃহা।
ওটস
সকালের নাশতায় যারা ওটস খান তারা সারাদিনের জন্য পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করেন। ফাইবারে ভরপুর এ খাবারটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তে শর্করা স্থিতিশীল থাকলে মুড ভালো থাকে। এছাড়া ওটসে থাকে ম্যাগনেশিয়াম যা মন ভালো রাখতে সহায়ক।
বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ ভালো খাবার। এ খাবারগুলোতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা সেরেটোনিন উৎপাদনে সহায়তা করে। বিশেষ করে কাজুবাদাম ও আখরোট মস্তিষ্কের কাজের গতি বাড়ায় এবং মানসিক অবস্থা ভালো রাখে।
সবুজ চা
সবুজ চা মানসিক চাপ কমিয়ে মনকে শান্ত করে। কারণ এতে রয়েছে এল-থিয়ানিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড। তাই সবুজ চা পান করলে মানসিকভাবে উৎফুল্ল থাকা যায়।