প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১৭:৫৪ |
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা হলেন ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) এসএন নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারে জড়িত সন্দেহে শেরপুরের নালিতাবাড়ী থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের গতিবিধি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার দুইজন হলেন সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম।
তিনি আরও বলেন, হাদির ওপর হামলার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হিসেবে একজনকে আটক করেছে র্যাব। তার নাম আবদুল হান্নান।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, হাদিকে গুলি করা ফয়সাল করিম মাসুদ ও মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখকে শনাক্ত করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ চেক করে এখন পর্যন্ত আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। ফয়সালের পাসপোর্ট নম্বরটা পাওয়া গেছে। তার সর্বশেষ যে ভ্রমণ তথ্য পাওয়া গেছে, সেটা সম্ভবত জুলাইয়ে, সেটা থাইল্যান্ড থেকে আসছেন। এরপরে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে আর তার ডিপার্চারের কোনো তথ্য নেই।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করছে। তবে নগরবাসীর দায়িত্ব রয়েছে। আশেপাশে কোনো দুষ্কৃতিকারীকে দেখলে, বা তথ্য থাকলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, জুলাই যোদ্ধা এক হাদি না, লক্ষ জুলাই যোদ্ধা আছে। এই লক্ষ জুলাই যোদ্ধার ইন্ডিভিজুয়াল সিকিউরিটি নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। তবে সার্বিক সিচুয়েশনটাকে আমার সিকিউর করতে হবে। রাষ্ট্রকে সিকিউর করতে হবে। রাজধানীকে সিকিউর করতে হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। যাদের স্পেসিফিক এই ধরনের সিকিউরিটি থ্রেড আছে, তাদেরটা নিয়ে আমরা এনালাইসিস করছি। তাদেরকে আমরা খুব কাছাকাছি তাদের সাথে কোন সিকিউরিটি আরেঞ্জমেন্ট করা যায় কিনা এটা অলরেডি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যাদেরকে আমরা খুব হাই থ্রেড মনে করছি; তাদেরকে আমরা পার্সোনাল সিকিউরিটি দেব।